Monday, October 8, 2018

৩৫ বছর পর আপনার হার্ট ভাল রাখার জন্য সহজ কিছু উপায়

 

আপনার হার্ট যেসব উপায়ে খুব সহজেই ভাল রাখতে পারেন এবং জীবনকে করতে পারেন ঝুকিমূক্ত।

heart image

৩৫ বছরে পা দেওয়ার পরপর জীবনের চাপগুলো যেন হঠাৎ করেই  বাড়তে থাকে।জীবন অনেকটাই জটিলতায় পূর্ন হয়ে পড়ে। এ সময় ক্যারিয়ারের চাপ, সাংসারিক চাপ সমান তালে বাড়তে থাকে। 
এই চেপে বসা পরিস্থিতি হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। তবে কিছু বিষয় আছে যেগুলো মেনে চললে হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকটাই এড়িয়ে জীবন চমৎকার উপভোগ করা যায়। টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে এই বাড়ন্ত বয়সে হার্ট ভালো রাখার অতি মূল্যবান কিছু পরামর্শ।যা আপনার জীবনের ঝুকি অনেকটাই কমিয়ে দেয়।

 চাপ এড়িয়ে কাজ করুন-কাজটাকে উপভোগ করুন-

অফিসের কাজের চাপ, পারিবারিক চাপ এড়ানো এত সহজ নয়। তবে এগুলোকে সামলাবেন কীভাবে সেটা তো শেখা যায়। যত রিল্যাক্স থাকবেন, শরীর তত চাপ নিয়ন্ত্রণ শিখবে। গবেষকরা বলেন, যেকোনো ধরনের ব্যায়াম চাপ দূর করে আপনাকে হালকা রাখতে সাহায্য করবে। চাপমুক্ত থাকতে যেটা আপনি পছন্দ করেন, এমন কোনো ব্যায়াম বেছে নিন। এ ছাড়া মেডিটেশন করুন বা পছন্দের কিছু করুন যা চাপমুক্ত রাখতে সাহায্য করবে।

 নিয়মিত ব্যায়াম করুন যখন যেভাবে সময় পান-

৩০ বছরের পর হার্ট ভালো রাখতে নিয়মিত ব্যায়াম করা জরুরি। প্রতিদিন ১৫ থেকে ৩০ মিনিট ব্যায়াম হার্টকে ভালো রাখে। এটা আপনাকে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করবে, যা হার্ট ভালো রাখার আরেকটি বিষয়।

সবুজ শাকসব্জি সহ স্বাস্থ্যকর খাবার খান-

ছুটির দিনগুলোতে পরিবার বা বন্ধুদের সাথে কিংবা অফিসে কাজের চাপে আমরা অনেক সময়ই অস্বাস্থ্যকর খাবার খাই।বিশেষজ্ঞরা বলেন, হার্ট ভালো রাখতে এগুলো খাওয়া বাদ দেওয়া উচিত।
এই অস্বাস্থ্যকর খাবার ক্যালোরি এবং কোলেস্টেরল বাড়াবে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি তৈরি করবে। 
আপনার খাদ্যতালিকায় প্রোটিন, ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ খাবার রাখবেন। তবে লাল মাংস (খাসি, গরু) খাওয়া এড়িয়ে চলুন।প্রচুর পরিমানে সবুজ শাকসব্জি খান।

ভালোভাবে পরিমিত ঘুমান-

ভালো ঘুম শরীরের জন্য খুবই জরুরি। ভালোভাবে না ঘুমালে স্ট্রোক এবং কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। নির্দিষ্ট সময় ঘুমাতে যান এবং ঘুম থেকে উঠুন। ঘুমের আগে মদ্যপান, ধূমপান এবং ভারি খাবার পরিহার করুন।

লবণ এবং চিনির পরিমাণ একেবারে কমান-

লবণ এবং চিনির পরিমাণ কমান,বেশি চিনি খাওয়া দেহে কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা বাড়ায়। আবার অতিরিক্ত লবণ উচ্চ রক্তচাপ তৈরি করে।পুরোপুরি এগুলো বাদ দেওয়া সম্ভব নয়। তবে এগুলো খাওয়ার পরিমাণ কমান। পাশাপাশি ক্রিমযুক্ত খাবার যেমন কেক খাওয়া এড়িয়ে চলুন।


জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির ব্যপারে সতর্ক থাকুন-

আপনার যদি উচ্চ রক্তচাপ থাকে বা হৃদরোগের পারিবারিক ইতিহাস থাকে, সেক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির (পিল, প্যাচেজ) ব্যবহার হার্টের ক্ষতি করতে পারে। তাই এসব ব্যবহারের আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

 সকালের নাস্তা অবশ্যই গ্রহন করবেন-

সকালের নাস্তা কখনোই এড়ানো যাবে না। স্বাস্থ্যকর এবং পুষ্টিগুণসম্পন্ন সকালের নাস্তা খাওয়া খুবই জরুরি। ভালোভাবে সকালের নাস্তা করলে এটি সারা দিন শরীরকে কর্মক্ষম রাখতে সাহায্য করবে।

No comments:
Write Post a Comment